আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানুষ অনেক সম্মান করেন। সরকারি কলেজের শিক্ষকদের তার চেয়ে কম মান্য করেন। বেচারা প্রাথমিকের শিক্ষকগণ যে কেন শিক্ষক হয়েছেন সেই প্রশ্নও এই জাতির জানা নাই। যার ফলে আজো পাশের দেশের মতোও আমাদের দেশের শিক্ষকের জন্য বেতন ভাতাদি চালু হয়নি।
অথচ স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। তার সাথে সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকদের ভূমিকার কথাতো না বললেই নয়। ৮০র দশকে আমাদের দ. তালবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয় তার একজন প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক হলেন জনাব মো.নুরুল হক। তিনি এই স্কুলটির জন্মলগ্ন থেকেই দ.তালবাড়িয়ার শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে গেছেন।
জনাব মো.নুরুল হক ১৯৮৬ সালে স্কুলটি সরকারি করণের সময় থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে আগামী ৩১শে জানুয়ারি ২০২২খ্রিঃ। ১৯৮৪ সাল থেকে ইতোমধ্যে তিনি ৩৭ বৎসর শিক্ষকতা করেছেন। এই দীর্ঘ সময় তিনি সহকারী শিক্ষক হিসেবে অত্যান্ত সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে গেছেন। বিদায়ের মুহূর্তে আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
জনাব মো.নুরুল হক তাঁর সকল স্নেহের ছাত্র, ভ্রাতৃপ্রতীম সহকর্মী, বন্ধু -বান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট দোয়াপ্রার্থী।আজীবন সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেলেও নতুনদের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। বর্তমান সময়ের তরুণ সুশিক্ষিত নবীন শিক্ষকগণ পদোন্নতি পেয়ে অনেক দূর পর্যন্ত যাওয়ার যোগ্য বলে তাঁর প্রত্যাশা।
No comments:
Post a Comment